নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায়, জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের কার্যক্রমে আতংকে কুমড়ি পূর্বপাড়া সহ আশপাশের এলাকা পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে কুমড়ি গ্রাম সহ আশপাশের এলাকা। এদিকে ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছে অনেক নির্দোষী নিরীহ কৃষক। বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছে ধান কাটতেঐ গ্রামের মহিলারা। পুলিশের ভয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষকের সোনালী ফসল।

এ অবস্থায় মহিলারা বলেন,আমরাও চাই এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি হোক। কিন্তু যাহারা এ ধরনের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট না, এবং নির্দোষী নিরীহদের কে যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার হতে না হয়।

এবং নিরীহ নির্দোষ কৃষকরা বাড়ি এসে যাহাতে ঘরে তুলতে পারে কৃষকের কষ্টের ফলানো সোনালী ফসল । গ্রামের কৃষকের পরিবারের মহিলারা বলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এর কাছে আমাদের জোর দাবি যাহাতে অন্তত পাকা ধান গুলি কেটে আমরা ঘরে তুলতে পারি।

এ বিষয়ে নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন,উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কে কেদ্র করে দুপক্ষের দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোর সময় দুইজন এ এস আই মীর আলমগীর ও এএস আই মিকাইল হোসেন এর উপর হামলা ও অস্ত্র ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে।

ওইদিন জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালিয়ে আহত এ এস আই মীর আলমগীর ও এএস আই মিকাইল হোসেন কে উদ্ধার সহ ছিনতাই হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

নড়াইলের পুলিশ সুপার উক্ত এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক দের বলেন ৩ জন মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। এবং এ এস আই মিকাইল হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। প্রকৃত এ বিষয়ের সাথে যাহারা জড়িত তাদের কে ই মূলত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । যাহারা এ বিষয়ে এর সাথে সংশ্লিষ্ট না তাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান।